স্থিতিস্থাপক চাহিদা: দামের শতাংশিক (%) পরিবর্তনের চেয়ে যদি চাহিদার পরিমাণের শতাংশিক (%) পরিবর্তন বেশি হয়, তবে তাকে স্থিতিস্থাপক চাহিদা বলা হয়।
অস্থিতিস্থাপক চাহিদা: দামের শতাংশিক (%) পরিবর্তনের চেয়ে যদি চাহিদার পরিমাণের শতাংশিক (%) পরিবর্তন কম হয়, তবে তাকে অস্থিতিস্থাপক চাহিদা বলা হয়।
(২) আপেক্ষিতার ভিত্তিতে চিত্রগত পার্থক্য:
অস্থিতিস্থাপক চাহিদা রেখার তুলনায় স্থিতিস্থাপক চাহিদা রেখা বেশি হেলানাে।
চিত্রে D1 ও D2 উভয় চাহিদা রেখা e বিন্দুতে ছেদ করে । Po থেকে দাম কমে P1 হলে D1 চাহিদা রেখায় চাহিদার পরিমাণ বৃদ্ধি পায় QoQ1 এবং D2তে চাহিদার পরিমাণ বৃদ্ধি হল Q0Q2। চাহিদার পরিমাণের মাত্রাগত পরিবর্তন D2তে বেশি। তাই D1কে অস্থিতিস্থাপক এবং D2 কে স্থিতিস্থাপক চাহিদা রেখা বলা যায়।
(৩) দ্রব্যের প্রকৃতি প্রেক্ষিতে পার্থক্য:
সাধারণত: বিলাস দ্রব্যের চাহিদাকে স্থিতিস্থাপক চাহিদা এবং নিত্যপ্রয়ােজনীয় দ্রব্যের চাহিদাকে অস্থিতিস্থাপক চাহিদা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। যেমন, প্রসাধনী দ্রব্যের চাহিদা আপেক্ষিকভাবে স্থিতিস্থাপক এবং লবণের মত অত্যাবশ্যক দ্রব্যের চাহিদা আপেক্ষিকভাবে অস্থিতিস্থাপক।
(৪) মােট ব্যয়ভিত্তিক স্থিতিস্থাপক চাহিদা ও অস্থিতিস্থাপক চাহিদার মধ্যে পার্থক্য:
মার্শাল প্রদত্ত ধারণা অনুসারে দাম কমলে চাহিদার পরিমাণ যদি এমনভাবে বাড়ে, যাতে মােট ব্যয় বাড়ে, তখন বিবেচ্য দ্রব্যের চাহিদাকে স্থিতিস্থাপক চাহিদা বলা হবে। আর দাম কমলে যদি মােট ব্যয় পূর্বের চেয়ে কমে যায়, তবে বিবেচ্য দ্রব্যের চাহিদাকে অস্থিতিস্থাপক চাহিদা বলা হবে।
Comentários