top of page
Search
  • Writer's pictureProf Manotosh Chakravarty

Dr John Snow- A Pioneering Physician

এক অগ্রণী চিকিৎসক- জন স্নো

Dr John Snow- A Pioneering Physician


নিবেদক

- প্রফেসর মনতোষ চক্রবর্তী



Dr John Snow (1813-1858)



উপলব্ধিযোগ্য / ভাবনার খোরাক :


১. করোনা ভাইরাস কিভাবে মহামারী সংক্রান্ত বিদ্যা (epidemiology) ও অর্থবিদ্যাকে (economics) নিকটতর করেছে?

২. কে আধুনিক মহামারী বিদ্যার জনক ( father of modern epidemiology )?

৩. দ্বিত্ব মৃত্যুর ধারণা- শারীরিক/ দৈহিক মৃত্যু (physical death ) ও অর্থনৈতিক মৃত্যু (economic death) কি ?

৪. মেডিকেল পান্ডেমিকস ও ইকোনমিক পান্ডেমিকস কি বিচ্ছিন্ন বিষয় নাকি অবিচ্ছিন্ন?

৫. করোনা/ আইসোলেশন / লক ডাউন এবং ইকোনমিক এক্টিভিটিজের মধ্যে কোনো ট্রেড অফ বা বিনিময় সম্ভাবনা কি চলতে পারে ?

৬. চিকিৎসা ক্ষেত্রে / মহামারী ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান মানচিত্র কিভাবে প্রয়োগযোগ্য?

৭. একজন চিকিৎসক কিভাবে শিল্প বিপ্লবের মসৃন পথের দিশারী হিসাবে গণ্য হলেন?

আলোচনার শিরোনাম দেখে আমাকে কেউ হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন - আমি অর্থনীতির শিক্ষার্থী হয়ে মহামারী ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভেতর কেন অযথা নাক গলাচ্ছি। আমার উত্তর হলো- কই! আমি তো নাক গলাচ্ছি না - আমি তো আমার বিষয় অর্থনীতির মধ্যেই আছি। আমরা সবাই আজ চোখের সামনে করোনা আক্রমনের শিকার হয়ে দেখছি- কিভাবে economics ও epidemiology একাকার হয়ে গেছে। মেডিকেল পান্ডেমিকস ও ইকোনমিক পান্ডেমিকস অবিচ্ছিন্ন রূপে আমাদের সামনে হাজির হয়েছে। মৃত্যুভীতি দেখা দিয়েছে দুদিক থেকেই। একদিকে করোনার কারণে শারীরিক মৃত্যু (physical death ) , আরেক দিকে করোনার কারণে অর্থনৈতিক মৃত্যু (economic death - লক ডাউন ও আইসোলেশনে কাজে যোগদানে অসম্ভবতা , বেকারত্ব, উৎপাদনহীনতা , দুর্ভিক্ষ ও অনাহারে মৃত্যুভীতি)। একদিকে করোনা ছুঁবে কি ছুঁবে না , আরেক দিকে কাজে যোগ দিব কি দিব না - এ এক মহা মুশকিলের ব্যাপার ! করোনা ও ইকোনমিক এক্টিভিটিজের মধ্যে কোনো ট্রেড অফ বা বিনিময় সম্ভাবনা কি চলতে পারে? পরিত্রাণ কোথায়? পরিত্রান হলো -ভ্যাকসিন / সুনির্দিষ্ট ওষুধ / পরিসংখ্যানের সঠিক মানচিত্র (Statistical mapping ) । এ অবস্থায় Dr John Snow এর নাম ও অবদানের কথা যেন আমরা স্মরণ করি। কারণ- Dr John Snow তাঁর কর্ম পদ্ধতির দ্বারা কলেরা মহামারীর মৃত্যুভীতি দূরীকরণ ও শিল্প বিপ্লবের অনুসঙ্গ কারখানা-শ্রমিকদের অবিচ্ছিন্ন কর্মযজ্ঞ বজায় রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন। আসুন জেনে নেই Dr John Snow কে ।

আধুনিক মহামারী সংক্রান্ত বিদ্যার জনক হলেন Dr John Snow , তাঁর জন্ম ব্রিটেনে। একবার ডাক্তারদের মধ্যে ভোট হয়েছিল- পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় ডাক্তার কে ? সেই ভোটে Dr John Snow এর নামের পাশে সবচে বেশি ভোট পরে ( তবে সেই ভোট নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে!)।

তবে তাঁকে আধুনিক মহামারী সংক্রান্ত বিদ্যার জনক বলার কারণ হলো - "For his persistent efforts to determine how cholera was spread and for the statistical mapping methods he initiated, John Snow is widely considered to be the father of [modern] epidemiology." (উইকিপেডিয়া)


শিল্প বিপ্লবের সাথে সাথে শিল্প শহর/ নগরগুলোতে জনসমাগম বাড়তে থাকে। সে সময়কালে লন্ডন নগরীতে কারখানা ও লোকসংখ্যা উভয়েই খুব বেড়ে যায়। শ্রমিকদের / দরিদ্র ব্যক্তিদের বসবাসের পরিবেশ হয়ে পড়েছিল দুর্বিসহ। অন্ধকার, স্যাঁতসেঁতে পুঁতি গন্ধময় বাসস্থানে দরিদ্র মানুষদের থাকতে হতো বাধ্য হয়ে। তাদের বাসস্থানের আশেপাশে পয়ঃনিষ্কাশন ছিল খুবই দুর্বল। এ ধরণের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ব্যাধি ছড়ানো ছিল স্বাভাবিক। ১৮৫৪ সালে লন্ডন এর সোহোতে কলেরার প্রাদুর্ভাব ঘটে। অনেকে তখন ধারণা করতো যে কলেরা বোধ করি বাতাসে ছড়ায়। প্রখ্যাত চিকিৎসক Snow কলেরার কারণ বের করার জন্য হন্যে হয়ে ফিরছিলেন, তিনি কিছুতেই মেনে নিতে চাননি যে, কলেরা বাতাসে ছড়ায়। চিকিৎসক Snow কলেরায় মৃতদের অবস্থানগত ঠিকানা ও পানিয় জলের উৎস হিসাবে পাম্পগুলোর / টিউবয়েলগুলোর অবস্থান চিহ্নিত করে মানচিত্র তৈরি করলেন।




সেই মানচিত্র ধরে তিনি অনুসন্ধান করে বের করলেন কোন পাম্প এর জল জীবাণুযুক্ত হয়েছে। তিনি অনুসন্ধান করে এও বের করলেন যে, শিশুর নোংরা `ডায়পার’ থেকে জলে কলেরার জীবাণু সৃস্টি হয়েছে।




আর সেই পাম্প থেকে জল পান করে লোকজন কলেরাতে আক্রান্ত হয়েছে ও হচ্ছে। তিনি সেই পাম্পটি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। সেই পাম্প

থেকে পাম্প-হ্যান্ডেল টি খুলে নিয়ে পাম্প বন্ধ করে দেওয়া হলো। আর তাতে কলেরাও দূরীভূত হল।

শিল্প কল কারখানায় শ্রমিকরা নির্ভয়ে কাজ করতে শুরু করলো। কল কারখানায় পরিচ্ছন্নতা বজায়, বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা , উপযুক্ত স্যানিটেশন ইত্যাদির উপর কারখানা মালিক ও শ্রমিক সবাই বিশেষ নজর দিলো। ফিরে এলো উপযুক্ত কর্ম পরিবেশ। শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা বাড়লো , বাড়লো GDP ।

এভাবে শিল্প বিপ্লবের সুফল ধরে রাখার অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখতে চিকিৎসক Snow যে ভূমিকাটি রেখেছিলেন , অর্থনীতির শিক্ষার্থীরা যেন না ভুলে যাই। শিল্প বিপ্লবের মসৃন পথের দিশারী হিসাবে Snow গণ্য হলেন।

চিকিৎসক Snow যেরকম মেডিকেল ডিটেকটিভ হিসাবে সুনির্দিষ্টভাবে কলেরার উৎসস্থলের ‘টিউবয়েল’ চিহ্নিত করতে পারলেন , এ এক বিস্ময়কর সফলতা ! তাতে বাঁচলো মানুষ, বাঁচলো অর্থনীতি। পরবর্তীতে চালু হয়েছে তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে মূল্যবান বক্তৃতামালা ‘John Snow Society Pumphandle Lectures’।


চিকিৎসক John Snow মাত্র ৪৫ বছর বাঁচেন , সেই স্বল্পায়ু ব্যাক্তিই মহামারী বিদ্যার জনক হিসাবে আজ মানুষের মনিকোঠায় চিরজীবী হয়ে আছেন।








বর্তমান করোনা সংক্রমণের ধারা অনুসন্ধানে চিকিৎসক ডিটেকটিভ Snow এর দেখানো পথ অনুসরণ করে / পরিসংখ্যান তথ্যভিত্তিক মানচিত্র ধারণার প্রয়োগ ঘটিয়ে মানব জাতি হয়তো ভবিষ্যতে জানতে পারবে- কোথায় এই মরণঘাতী রোগের উৎস বা প্রকৃত বীজ লুকিয়ে আছে?


তথ্য সূত্র ও কৃতজ্ঞতা স্বীকার



Sandra Hempel. The Medical Detective: John Snow; Cholera and the Mystery of the Broad St. Pump. London Granta Books, 2006.


Deborah Hopkinson. The Great Trouble. Subtitled ‘A mystery of London, the blue death and a boy called Eel’. Knopf Books for Young Readers, 2013.


Wikipedia


ধন্যবাদ অন্তে - প্রফেসর মনতোষ চক্রবর্তী




70 views0 comments

Recent Posts

See All

Comments


bottom of page