top of page
Search
  • Writer's pictureProf Manotosh Chakravarty

Juta Abishkar in the context of COVID 19

করোনা ভাইরাস (COVID -১৯)-’র প্রেক্ষাপটে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি বহুল পরিচিত কবিতা - 'জুতা আবিষ্কার'


- প্রফেসর মনতোষ চক্রবর্তী


করোনা ভাইরাস (COVID -১৯) এর কারণে মানবজাতি আজ দিশেহারা। মানব সভ্যতার সব অর্জন যেন এ মুহূর্তে ভেঙে পরার উপক্রম হয়েছে। অনেকের মতে চীনের উহানে প্রাথমিক সংক্রমণের তথ্য সময়মতো পেলে হয়তো সংক্রমণ এতটা ভয়াবহ হতো না। যদি `The patient -zero’ অর্থাৎ সংক্রমিত ১ম ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যেত, তবে হয়তো আজ কোটি কোটি মানুষকে এ মরণঘাতি সংক্রমণের শঙ্কায় ভুগতে হতো না। ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত তথ্য গোপনের ফল, আজ মানুষকে অস্তিত্বের সংকটে ফেলে দিয়েছে। এখন সংক্রমণ/ ভাইরাস প্রতিরোধ করতে গিয়ে দিশেহারা বিশ্ববাসী কি এলোমেলো সিদ্ধান্ত নিয়ে সমগ্র বিশ্বকে আরো বেশি করে সংক্রমিত/ ভাইরাসময় করে তুললো ?


বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের `জুতা আবিষ্কার’ কবিতার আলোকে কি বলা যায়, ধুলো দূর করতে গিয়ে কি সারা পৃথিবীকে ধুলোময় করে তুললো মানুষ? মানুষ কি ভাইরাস এর প্রতি অতি ভীত হয়ে পালাতে গিয়ে কোটি কোটি মানুষকে সংক্রমণের মধ্যে ফেলে দিলো? হয়তো সোশ্যাল ডিস্ট্যানসিং / আইসোলেশন , পরিচ্ছন্নতা ও মাস্ক -গ্লাভস ইত্যাদির ব্যবহার প্রথম থেকেই যদি বাধ্যতামূলক করা হতো, তবে এ ভোগান্তি ও মৃত্যুর শঙ্কায় মানুষকে পরতে হতো না। রাজা ম’শায়ের পায়ে যাতে ধুলো (ভাইরাস) না লাগে, তার জন্যে পারিষদবর্গের অতি ব্যস্ততায় কি সমগ্র জাতি তথা বিশ্ববাসী দুর্বিপাকের মধ্যে নিপতিত হলো ! জুতা আবিষ্কারের মতো মাস্ক , গ্লাভস, রুমাল, চশমা,রেইন-কোট, ছাতা এসবের মতো অতি সাধারণ কোনো বস্তু অথবা কোনো সাধারণ কোনো ভ্যাকসিন অথবা অতি সাধারণ কোনো শাক-সবজি , গাছ গাছালি, ফলমূলই হয়তো COVID -১৯ এর প্রতিষেধক বা ওষুধ হিসেবে অচিরেই আবিষ্কার হবে! আর জুতা আবিষ্কারের সেই বুড়ো চর্মকারের (মুচির) প্রতি মন্ত্রী মহোদয়ের উক্তির মতো অনেকের মুখে হয়তো শোনা যাবে- ‘কি অবাক কান্ড ! এরকমটি তো আমারো জানা ছিলো’!




5 views0 comments

Recent Posts

See All

Comentários


bottom of page