top of page
Search
  • Writer's pictureProf Manotosh Chakravarty

Kautilya's 'Arthashastra' as a Root of Economics



অর্থনীতির প্রথম প্রমাণসিদ্ধ গ্রন্থ / দলিল কোনটি?

-প্রফেসর মনতোষ চক্রবর্তী

​Email: manotosh.chakravarty@gmail.com


কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র


কৌটিল্য যিনি বিষ্ণু গুপ্ত ও চাণক্য নামেও পরিচিত, তিনি মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের অধীনে প্রধান মন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। কৌটিল্যের ‘অর্থশাস্ত্র’ নামক গ্রন্থটি অর্থশাস্ত্রের প্রথম গ্রন্থ বলে অনেক সময় দাবি করা হয়। তবে এ বিষয়ে কারো কারো দ্বিমত থাকতে পারে। কারণ কৌটিল্যের পূর্বে জেনোফোনের ‘সক্রেটিক সংলাপ’ হিসাবে যা প্রকাশ পেয়েছিলো সেটি ছিল পারিবারিক বা গৃহস্থ অর্থনীতির ব্যবস্থাপনার উপর একটি কবিতা-গ্রন্থ (পদ্য আকারে / ছন্দবদ্ধ) যা প্রকাশ পেয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে। কৌটিল্যের গ্রন্থটিও প্রায় সমসাময়িককালেই প্রকাশ পেয়েছিলো। মূল গ্রন্থটি ছিল সংস্কৃত ভাষায় (শ্লোক মাধ্যমে) লিখিত। কৌটিল্যের গ্রন্থটি খ্রিস্টপূর্ব 321 ও 286 এর সময় কালে প্রকাশ পেয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। কৌটিল্যের ‘অর্থশাস্ত্র’ সেই সময়কালের শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ বলে ধারণা করা হয়। 2500 বছর আগে এই অর্থশাস্ত্র গ্রন্থটি রচিত হয়েছিল। যদি জেনোফোনের গ্রন্থটিকে ‘পারিবারিক ব্যবস্থাপনার উপর অর্থনীতি’র প্রথম গ্রন্থ বলা হয়, তবে কৌটিল্যের ‘অর্থশাস্ত্র’ কে বলতে হবে ‘রাজনৈতিক অর্থনীতি’র প্রথম গ্রন্থ।


[অর্থনীতির উপর প্রথম গ্রন্থ কোনটি ?

যদি পারিবারিক ব্যবস্থাপনা কে অর্থনীতির প্রথম বিষয় হিসাবে মেনে নেওয়া হয়, তবে জেনোফোনের ‘সক্রেটিক সংলাপ’ গ্রন্থটি হল অর্থনীতির প্রথম গ্রন্থ। কিন্তু পারিবারিক ব্যবস্থাপনার অর্থনীতিকে বাদ দিয়ে যদি ‘রাজনৈতিক অর্থনীতি’ কে রাষ্ট্রের দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করে অর্থশাস্ত্র কে আমরা চিহ্নিত করি, তবে কৌটিল্যই হলেন অর্থনীতির বিশেষ করে রাজনৈতিক অর্থনীতির প্রথম গ্রন্থ প্রণেতা। কৌটিল্যের ‘অর্থশাস্ত্র’ গ্রন্থটি হল ভারতীয় সমাজ-সভ্যতা-সংস্কৃতি-কৃষ্টি সর্বোপরি অর্থনৈতিক চিন্তাধারার ক্ষেত্রে এক বিশাল সম্পদ।]

2500 বছর আগে এই গ্রন্থ রচিত হলেও বহু বহু যুগ ধরে এ গ্রন্থটি মানুষের চোখের আড়ালে থেকে যায়। 1905 সালে ডক্টর শ্যাম শাস্ত্রী এই ‘অর্থশাস্ত্র’ নামক সংস্কৃত গ্রন্থটি খুঁজে পান।




1909 সালে ডক্টর শ্যাম শাস্ত্রীর অনুবাদকৃত অর্থশাস্ত্র গ্রন্থটি জনসমক্ষে আসে এবং বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। ডঃ এ কে সেন দাবি করেন যে, অর্থশাস্ত্র গ্রন্থটি প্রকৃত অবস্থা অর্থনীতির বিষয়ক প্রথম গ্রন্থ। তাঁর দাবি অনুসারে অর্থনীতির মৌলিক ধারণা অনুধাবনের জন্য প্রথম চিন্তামূলক গ্রন্থ হলো অর্থশাস্ত্র ।


কৌটিল্যের মতে বিজ্ঞান হল চার ধরনের এবং সেই চার ধরনের বিজ্ঞানের সমন্বয় ঘটেছে অর্থশাস্ত্রে। কৌটিল্যের বিশ্বাস- অর্থশাস্ত্রের নীতিনিয়মের মাধ্যমে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক কার্যক্রম তথা ‘অর্থনৈতিক জীবন’ সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে । কৌটিল্য মনে করেন ‘নীতিশাস্ত্র’ ও ‘অর্থশাস্ত্র’ এই দুটো বিষয়কে বিচ্ছিন্ন করার সুযোগ নেই। কৌটিল্যের চিন্তাধারা অনুসারে অর্থশাস্ত্র কে রাজনৈতিক বিজ্ঞান অর্থাৎ ‘সাইন্স অফ পলিটিক্স’ বলে ধারণা করা যায়। অর্থশাস্ত্রের শব্দগত অর্থ যদি অনুসন্ধান করা হয় তাহলে আমরা দেখব অর্থশাস্ত্র মূলত একটি ‘সম্পদের বিজ্ঞান’ অর্থাৎ ‘সাইন্স অফ ওয়েলথ’।


কৌটিল্যের ‘অর্থশাস্ত্র’ কে লিটারেল অর্থে বিবেচনা করলে বলা যায়- ‘অর্থ’ হলো সম্পদ বা ওয়েলথ এবং ‘শাস্ত্র’ হল বিজ্ঞান তথা জ্ঞানের ভান্ডার, যাকে সাইন্স বলা হয়। সুতরাং অর্থশাস্ত্র হল সম্পদের বিজ্ঞান।


রাষ্ট্র বা জাতিকে ঘিরে অর্থনীতি পরিচালিত হয়, আর রাষ্ট্রভিত্তিক অর্থনীতি নিয়ে কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র আলোকপাত করে। কৌটিল্যের মতে অর্থশাস্ত্র হল এমন একটি বিজ্ঞান, যা সম্পদ সৃষ্টি ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা নিয়ে পর্যালোচনা করে, যার মাধ্যমে প্রজা অর্থাৎ জনসাধারণ , সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণ অর্জিত হয়।


নীতিশাস্ত্রের প্রেক্ষাপটে বিবেচ্য রাষ্ট্রের আর্থিক ব্যবস্থাপনা (ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট) ও অর্থনৈতিক সুশাসন (ইকোনমিক গভর্নেন্স) এর দিক নির্দেশকারী শাস্ত্র বা বিজ্ঞান হল অর্থশাস্ত্র।


রাষ্ট্রীয় দর্শন তথা রাজনৈতিক দর্শন, অর্থনৈতিক দর্শন এবং বিজ্ঞান - এদের সমন্বিত শাস্ত্রই হলো অর্থশাস্ত্র তথা পলিটিক্যাল ইকনোমি। সুতরাং পলিটিক্যাল ইকোনমি’র জনক হিসাবে কৌটিল্যের নাম উচ্চারিত হতে পারে বলে অর্থনীতির চিন্তাবিদরা মনে করেন। রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ, সম্পদ আহরণ, রাজস্ব আহরণ এসবের নীতিমালা সমন্বিত শাস্ত্রই হলো কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র ।


সাধারণভাবে প্লেটো এবং অ্যারিস্টোটল এর ন্যায় গ্রিক দার্শনিকদের স্মরণ করে বা শ্রদ্ধা জানিয়ে অর্থনৈতিক চিন্তাধারার ইতিহাসের সূত্রপাত করতে দেখা যায়। কিন্তু গ্রীক দার্শনিকদের বহু বছর আগেই বৈদিক দর্শনের যে উদ্ভব ঘটেছিল, তার সূত্র ধরে অর্থনৈতিক চিন্তাধারার ইতিহাসের একেবারে শুরুতে আমরা পৌঁছাতে পারি।

প্রফেসর সতীশ দেওধর(আই.আই.এম, আহমেদাবাদ) মনে করেন যে, প্রাচীন ভারতবর্ষের গ্রন্থগুলোর সাথে গণ পরিচিতি না থাকায় বলা হয় যে, আধুনিক অর্থনৈতিক চিন্তাধারা যা ইউরোপে অষ্টাদশ শতাব্দীতে শুরু হয়েছিল মূল উৎস হিসাবে অর্থনীতির শেকড় হিসাবে সক্রেটিস-জেনফোন-প্লেটো- অ্যারিস্টোটল এঁদের অবদানকে সেখানে স্বীকার করে নেওয়া হয়। কিন্তু ভারতীয় দর্শনের শেকড়, যা গ্রিক দর্শনের হাজার বছর পূর্বে শুরু হয়েছিল, চিন্তার সংকীর্ণতার কারণে পাশ্চাত্যের চিন্তাবিদদের পক্ষে ভারতীয় বৈদিক দর্শনের গোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। আর সে কারণেই অর্থনীতির শেকড় অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে কৌটিল্য বা চাণক্যের প্রতি স্বীকৃতি প্রদানে কৃপণতা লক্ষ্য করা যায়। প্রফেসর দেওধর আরও বলেন যে, ভারতীয় বৈদিক দর্শনের বিভিন্ন পুঁথি ছড়ানো ছিটানো/ অবিন্যস্ত থাকায় শতাব্দী পর শতাব্দী তা সাধারণ মানুষের বোধের আড়ালে থেকে যায়। তবে খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকে কৌটিল্য কর্তৃক যে অর্থশাস্ত্র রচিত হয়েছিল (যাকে Treatise on Political Economy নামে অভিহিত করা যায়), সেই গ্রন্থটি ছিল হাজার বছরের বেদান্ত- জ্ঞান চর্চার ভিত্তিতে প্রণীত।


কিন্তু দুর্ভাগ্য এই যে, খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতকে কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র গ্রন্থটি মৌর্য-সাম্রাজ্যের পর (চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের স্বর্ণ যুগের পর) জনসমক্ষ থেকে হারিয়ে যায়। বারে বারে ভারতবর্ষে বহিঃ আক্রমণ ও ঔপনিবেশিক শাসনের যাঁতাকলে সেই অর্থশাস্ত্র অনেক দিন আর জনালোকে ফিরে আসেনি।


অবশেষে ১৯০৫ তে ডক্টর শ্যাম শাস্ত্রী কর্তৃক সংস্কৃত গ্রন্থটি ফিরে পাওয়া এবং তারপর ১৯০৯তে প্রকাশ এবং 1915 তে ইংরেজিতে অনুবাদ হওয়ার পরে বিশ্ববাসী জানতে পারে অর্থশাস্ত্র সম্পর্কে।


সেই অর্থশাস্ত্র হল রাষ্ট্র-দর্শন ও অর্থ-দর্শন এই দুইয়ের সমন্বিত রূপ। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র হলো রাজনৈতিক অর্থনীতি ও সম্পদ বিজ্ঞানের এক অবিস্মরণীয় সমন্বয়। আর তাই কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র হলো ‘পলিটিক্যাল ইকোনমি’ বিষয়ক প্রথম প্রামাণিক গ্রন্থ।



আমরা যদি পলিটিক্যাল ইকোনমির আদিপর্বে ফিরে যেতে চাই, তবে আমাদের যেতে হবে মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের আমলে। কৌটিল্যের সেই অর্থশাস্ত্র গ্রন্থে অর্থনীতি সংক্রান্ত বিষয় যেমন আছে, তেমনি সেখানে আছে রাজা-প্রজার প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক নীতি ভিত্তিক সম্পর্ক।


‘পলিটিক্যাল ইকোনমি’র আওতা বহুদূর প্রসারিত।

কৌটিল্যের মতে অর্থশাস্ত্রের মধ্যে চারটি বিজ্ঞানের সমন্বয় ঘটে। সেই চারটি বিজ্ঞান হলো দর্শন, নীতিশাস্ত্র, অর্থনীতি ও রাজনীতি। এই চারটি বিজ্ঞান দ্বারা মূলত রাষ্ট্রের অর্থনীতি এবং রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এই চারটি বিজ্ঞানের মাধ্যমে মানব সমাজ এর উৎকর্ষ ঘটে । প্রশাসক তথা রাজন্যবর্গের অর্থনীতি শিক্ষার ওপর প্রাধান্য দেওয়া উচিত বলে কৌটিল্য মনে করেন। অর্থশাস্ত্রে বলা হয়েছে যে, অর্থ-সম্পদ সৃষ্টির মাধ্যমে রাষ্ট্রের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা যায়, আর রাষ্ট্র পরিপুষ্ট হলে সমাজ- সভ্যতাও উন্নয়ন সোপানে এগিয়ে যায়।

অনুমান করা হয় যে, 2500 বছর আগে অর্থশাস্ত্রের উদ্ভব হয়েছিল। অর্থশাস্ত্রের মধ্যে দুটি শব্দ আছে- একটি হলো ‘অর্থ’ , আরেকটি ‘শাস্ত্র’। সংস্কৃত ভাষায় অর্থ দ্বারা সম্পদ বোঝানো হয় এবং শাস্ত্র দ্বারা বিজ্ঞান কে নির্দেশ করা হয়।


একটি জাতি বা রাষ্ট্রের সম্পদ কতগুলো সংকীর্ণ অর্থনৈতিক উপাদানের উপর বিশুদ্ধভাবে নির্ভর করে না, বরং প্রসারিত দৃষ্টিতে বিভিন্ন উপাদানের উপর তা নির্ভর করতে দেখা যায়। এজন্য সেই উপাদানগুলোকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্ন বিষয়/ বিজ্ঞান থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। অর্থনীতি, রাজনীতি, কূটনীতি, সমর নীতি এবং সমাজনীতি এসবের সমন্বয় ঘটিয়ে রাষ্ট্রের সম্পদ বৃদ্ধি, সম্পদের প্রয়োগ ও সম্পদ বন্টনের বিষয়গুলো কৌটিল্য বিবেচনা করেন।




সম্পদ কিভাবে অর্জিত হবে এবং সম্পদ ব্যবস্থাপনার কাজ কিভাবে পরিচালিত হবে, এসব বিষয়ে অর্থশাস্ত্র ধারণা দেয়। কাজেই কৌটিল্যর মতে রাষ্ট্রের সম্পদ আহরণ ও ব্যবস্থাপনার বিজ্ঞান হল অর্থশাস্ত্র। অর্থশাস্ত্র সম্পদ সৃষ্টির উপর আলোকপাত করে এবং সেই সম্পদ সৃষ্টি হল রাষ্ট্রের কল্যাণ নিশ্চিত করনের প্রধান উপায় বা মাধ্যম।


রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সুশাসন ও আর্থিক ব্যবস্থাপনার পদ্ধতিগত দিক নির্দেশনা দেয় অর্থশাস্ত্র।

অর্থশাস্ত্রে রাজ-কর্তব্য সম্পর্কে যেমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তেমনি নানা আইন-কানুন বিধিমালা সেইসাথে অর্থশাস্ত্রে উপস্থাপন করা হয়েছে। তৎকালীন সামাজিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সেসব আইন/ বিধিগুলো প্রণীত হয়েছিল ।

অর্থশাস্ত্রে রাষ্ট্রের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে:

১. প্রজাদের অর্থনৈতিক জীবনে রাষ্ট্রের ভূমিকা

২. সামাজিক জীবনে রাষ্ট্রের ভূমিকা

৩. ব্যক্তিগত অধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রের ভূমিকা।


রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ-কে কৌটিল্য দুটি ভাগে ভাগ করেছেন:

১. প্রত্যক্ষ অত্যাবশ্যকীয় নিয়ন্ত্রণ এবং

২. পরোক্ষ স্বেচ্ছাধীন নিয়ন্ত্রণ।

প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে খনিজ সম্পদ, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জমি বা ভূ-সম্পদ, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আকর্ষিত ও পতিত জমি , সরকার কর্তৃক পূর্ব-অনুমোদিত প্রজাদের ব্যবহৃত জমি অধিগ্রহণ ও তার পুনঃ বন্টন , খেয়া পারাপার, বাণিজ্যপথ/বন্দর পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প , বৈদেশিক বাণিজ্য ইত্যাদির উপর নিয়ন্ত্রণ।

পরোক্ষ স্বেচ্ছাধীন বা স্বাধীন রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের আওতায় আছে-

১. রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে বন জঙ্গল কেটে বসতি গড়ে তোলা ও কৃষি জমি চাষের বন্দোবস্ত করা

২. জল সেচের ব্যবস্থা

৩. সঠিক ওজন ও মাপ ব্যবহারে ব্যবসায়ীদের বাধ্যকরণ।

৪. দাম বেঁধে দেওয়া ও লাভের (মুনাফার) হার নির্দেশকরণ

৫. খাদ্যে ভেজালকারীদের শাস্তির বিধান

৬. বেকারদের কর্মসংস্থান


অর্থশাস্ত্রে রাজ কর্তব্য সম্পর্কে যেমন নির্দেশনা আছে , তেমনি সেখানে নানা আইন-কানুন বা বিধিমালা স্থান পায়। তৎকালীন সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সেই আইন বিধিগুলো কৌটিল্য কর্তৃক প্রণীত হয়েছিল। কৌটিল্যের মতে সরকারের মাধ্যমে তথা সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীনে রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক কার্যাবলী পরিচালিত হবে।

রাষ্ট্রের ভূমিকা তিনটি দিক থেকে প্রতিভাত হবে-

1.প্রজাদের অর্থনৈতিক জীবনে রাষ্ট্রের ভূমিকা

2.সামাজিক জীবনে রাষ্ট্রের ভূমিকা

3. ব্যক্তিগত অধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রের ভূমিকা

কৌটিল্য অভিমত রাখেন যে, সমৃদ্ধ রাজকোষ ছাড়া রাষ্ট্র সুষ্ঠুভাবে চলতে পারে না। তাই রাজস্ব আদায়ের ওপর তিনি গুরুত্ব দেন। ভূমি রাজস্ব ছিল প্রধান উৎস। পশু সম্পদ, বন , খনি, শিল্প উৎপাদন , আমদানি- রপ্তানি এসব ক্ষেত্রেও কর বা শুল্ক আরোপের বিষয় কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে উল্লেখ পাওয়া যায়।



তথ্যসূত্র:


কৃতজ্ঞতাঃ উইকিপেডিয়া ও ফটোর উৎস হিসাবে গুগল ও অপরাপর মাধ্যম।



-প্রফেসর মনতোষ চক্রবর্তী

​Email: manotosh.chakravarty@gmail.com


48 views0 comments

Recent Posts

See All

Comentários


bottom of page