বাণিজ্যিক ব্যাংকের বহু গুনিতক ঋণ সৃষ্টির প্রক্রিয়া
ঋণ গ্রহীতাকে সরাসরি অর্থ প্রদান না করে ব্যাংক প্রথমে ঋণ গ্রহীতার নামে একটি চলতি আমানতের হিসাব লিপিবদ্ধ করে। তারপর চেকের মাধ্যমে অর্থ তােলার ক্ষমতা তাকে দেয়। এভাবে ঋণ প্রদানের অজুহাতে ব্যাংক সক্রিয় আমানত সৃষ্টি করে। বাণিজ্যিক ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রথম ঋণ/ আমানতের তুলনায় মােট আমানত(তথা ঋণ) কয়েকগুণ বাড়ে, একেই বলে বাণিজ্যিক ব্যাংকের বহু গুণিতক আমানত বা ঋণ সৃষ্টি। নিম্নে বহু গুণিতক আমানত সৃষ্টি বা ঋণ সৃষ্টির প্রক্রিয়াটি উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করা হল।
উদাহরণের ভিত্তিতে ঋণভিত্তিক বহু গুনিতক আমানত সৃষ্টির প্রক্রিয়াঃ
প্রথম ব্যাংক-কে মূল ব্যাংক বলা যাক। একজন আমানতকারী নগদ 200 টাকা দিয়ে একটি চলতি আমানত খুললাে। তাহলে ব্যাংকের দায় সৃষ্টি হলাে 200 টাকা। আবার নগদ অর্থ হিসাবে তা প্রাথমিক রিজার্ভ বলে সম্পদের পর্যায়ভুক্ত হলাে। মনে করা যাক বাণিজ্যিক ব্যাংক মােট আমানতের 20% নগদ সংরক্ষিত তহবিল (রির্জাভ) হিসাবে রাখে। বাকি হিসাবে প্রদান করে এবং রিজার্ভের অতিরিক্ত টাকা ঋণ হিসাবে সে দিতে পারে। পরবর্তী পর্যায়ে 20% রিজার্ভে হিসাবে প্রথম ব্যাংকের হাতে 40 টাকা থাকে। বাকি 160 টাকা ঋণ হিসাবে দিতে পারে। ঋণগ্রহীতার নামে 160 টাকার একটি আমানত খােলা হয় ও তাকে চেক দেওয়া হয়। প্রথম ব্যাংকের দ্বারা 160 টাকার আমানত সৃষ্টি হলেই ব্যাংক ব্যবস্থার কার্যক্রম শেষ হয় না। ঋণগ্রহীতা কাউকে চেক প্রদান করলাে, সেই ব্যক্তি আবার চেকটি দ্বিতীয় ব্যাংকে জমা দেয়। তখন দ্বিতীয় ব্যাংকের আমানত দাঁড়ায় 160 টাকা। দ্বিতীয় ব্যাংকের প্রাথমিক অবস্থা সারণীতে লক্ষ্য করা যায়। দ্বিতীয় ব্যাংক 160 টাকার 20% রিজার্ভ হিসাবে রাখে এবং বাকি 128 টাকা ঋণ হিসাবে দেয়। দ্বিতীয় ব্যাংক কর্তৃক ঋণগ্রহীতার নামে 128 টাকার চেক ভিত্তিক আমানত সৃষ্টি হয়, যা’ আবার চেকের ভিত্তিতে তৃতীয় ব্যাংকে জমা পড়ে। তৃতীয় ব্য চতুর্থ ব্যাংক, চতুর্থ ব্যাংক থেকে পঞ্চম ব্যাংক, পঞ্চম ব্যাংক থেকে পরবর্তী ব্যাংকে-এভাবে ঋণ(আমানত) সৃষ্টির প্রক্রিয়া চলতে থাকে।
উদাহরণে RRr = 0.20 এবং প্রথম ব্যাংকে প্রথম জমা হলাে 200। তাহলে ঋণ বা আমানত সৃষ্টির প্রক্রিয়া প্রকাশ পায়-
Comments