প্রশ্নঃ ১৪। (খ), ২০১৯: মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাজস্ব নীতি হিসাবে কর হার ও ভর্তুকির প্রভাব চিত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা কর। (Explain with diagrams the effects of tax rate and subsidies as instruments of fiscal policy for controlling inflation)
- মনতোষ চক্রবর্তী
উ: মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে (মূলস্তরের স্থিতিশীলতা রক্ষায়) রাজস্ব নীতি ভূমিকা রাখে। কর আরোপ ও ভর্তুকি প্রদান সরকারি রাজস্ব নীতির অঙ্গীভূত উপাদান। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার কর হার বাড়াতে পারে ও অপর দিকে বিক্রেতা বা উৎপাদকদের ভর্তুকি প্রদান করতে পারে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দাম বা মূল্যস্তর কে নামিয়ে আনতে হবে।
কর হারের প্রভাব:
সামগ্রিক চাহিদা ও সামগ্রিক যোগান দ্বারা মূল্যস্তর প্রভাবিত হয়। সামগ্রিক চাহিদা হ্রাস করে মুদ্রাস্ফীতি ব্যবধান দূর করা (কমানো) যায়, তখন দামস্তর কমে ও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসে। চিত্রে তা দেখানো হলো।
সামগ্রিক যােগান অপেক্ষা সামগ্রিক চাহিদা বেশি হলে নির্দিষ্ট (কাম্য) উৎপাদন স্তরে অতিরিক্ত চাহিদার কারণে মুদ্রাস্ফীতি বা মুদ্রাস্ফীতি ব্যবধান দেখা দেয়। কর হার(যেমন আয় কর হার ) বাড়িয়ে ভোগ ব্যয় কমানো যায় , তার ফলে সামগ্রিক চাহিদা হ্রাস পায় , দামস্তর কমে এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রিত হয়। চিত্রে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে।
ভর্তুকির প্রভাব:
এবারে ভর্তুকি প্রদানের প্রভাব বিবেচনা করা যাক। ভর্তুকি প্রদানের মাধ্যমে উৎপাদক ও বিক্রেতাদের সরকার উৎসাহিত করতে পারে । তখন তারা উৎপাদন ও সামগ্রিক যোগান বাড়ায় , দামস্তর নেমে আসে ও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসে। চিত্রে তা লক্ষ্য করা যায়।
উল্লেখ্য যে , ভর্তুকি প্রদানের সময় সরকারকে ব্যয় বৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে যাতে মুদ্রাস্ফীতি আরো বেড়ে না যায় এবং ভর্তুকি প্রদানের ক্ষেত্রে দ্রব্য নির্বাচনেও সতর্ক থাকতে হবে।
-প্রফেসর মনতোষ চক্রবর্তী
Comentarios