top of page
Search
  • Writer's pictureProf Manotosh Chakravarty

The Historical School of Economics

Updated: Jul 22, 2020




জার্মানীর অর্থনীতির ঐতিহাসিক স্কুল

(The German Historical School of Economics)


উনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চিন্তাধারার ক্ষেত্রে জার্মানীতে ঐতিহাসিক স্কুল প্রাধান্য বিস্তার করে। এই মতবাদ ক্লাসিক্যাল অর্থনীতির পদ্ধতি ও বিশ্লেষণের বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়। রোসার (Roscher) এই ঐতিহাসিক স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা।

ঐতিহাসিক স্কুলের সদস্য হিসাবে সেই অর্থনীতিবিদদের বুঝানাে হয়, যাঁরা আপেক্ষিকতার নিয়মের উপর গুরুত্ব আরােপ করেন; ইতিহাসভিত্তিক তথ্য থেকে আরােহ (inductive) যুক্তির আশ্রয় গ্রহণ করেন এবং মানবীয় আচরণের পারস্পরিকতার উপর গুরুত্ব প্রদান করেন।


ঐতিহাসিক স্কুলের উৎস স্থল হলাে জার্মানী। নেপােলিয়ানের যুদ্ধ অবসানের পর শান্তি চুক্তি অনুযায়ী জার্মানী ৩৯টি ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়। তাদের বেশির ভাগই ছিল অগণতান্ত্রিক এবং রাজশাসিত। প্রুসিয়া তৎকালীন জার্মানীর ছােট ছােট রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ছিল সবচেয়ে বড় আর ধনী এবং শক্তিশালি। প্রুসিয়ার উপর তাই জার্মান জনগণের দাবীও ছিল- জার্মান একত্রিকরণের। নেপােলিয়ানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জার্মানীতে জাতীয়তাবাদের অনুভূতি জোরদার হয়ে উঠে। সেই জাতীয়তাবাদ বিকাশের মাধ্যমে প্রুসিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে প্রয়াসি হয়। সেই প্রুসিয়াতেই মূলত: ঐতিহাসিক স্কুলের বিকাশ ঘটে।


ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে জার্মান ঐতিহাসিক স্কুলটি যখন বিকাশ লাভ করে, তখন এটি আংশিকভাবে ‘ব্যক্তিতাবাদ’(Laissez -faire / লয়েসেজ ফেয়ার ) সংশ্লিষ্ট ইউরোপের আইডিয়াগুলোর ক্রমবর্ধমান প্রতিক্রিয়া হিসাবেই যাত্রা শুরু করেছিল । এটি স্পষ্টভাবে ব্রিটিশ অনুশীলন হিসাবে রিকার্ডো ও মিলের ক্লাসিক্যাল স্কুল ভিত্তিক অর্থনীতিকে প্রত্যাখান করেছিল ।


জার্মান ঐতিহাসিক স্কুলের মূল শেকড় নিহিত আছে হেগেলিয়ান দর্শন এবং অ্যাডাম মুলার ও ফ্রেডরিখ লিস্ট কর্তৃক ‘বিমূর্ত তত্ত্ব’ এর রোমান্টিক সমালোচনার মধ্যে ।

এই "ঐতিহাসিক" স্কুল এর নামটি যা ইঙ্গিত করে তা হলো - এটি অনুগত/ তথ্যগত (এম্পিরিক্যাল) এবং প্ররোচিত যুক্তির(inductive reasoning) উপর নির্ভরশীল। জার্মানী ছাড়াও বিভিন্ন দেশে এ স্কুলের আত্মীয়তার যোগসূত্রের মধ্যে রয়েছে-যেমন ইংলিশ হিস্টোরিক্যাল স্কুল , ফরাসি হিস্টোরিক্যাল স্কুল এবং আমেরিকান “নিউ জেনারেশন” (প্রোটো- ইনস্টিটিউশনালিস্ট) ।

সপ্তদশ শতাব্দীর প্রাকৃতিক আইন অনুসরণকারী দার্শনিক(natural law philosophers ) এবং অষ্টাদশ শতাব্দীর আলোকিত দার্শনিকদের (enlightenment philosophers ) খন্ড খন্ড ভাবনার সম্মিলনে অর্থনীতি বা আইন বিষয়ক একটি সম্পূর্ণ "প্রাকৃতিক" ব্যবস্থা (entire natural system ) প্রতিষ্ঠা করার জন্যই মূলত ঊনবিংশ শতাব্দীর জার্মান ঐতিহাসিক বিদ্যালয়ের উত্থান ঘটে। মনুষ্য-প্রকৃতির বিমূর্ত রূপ থেকে উদ্ভুত যুক্তির প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, অর্থনীতির নীতিগুলি (principles of economics ) অনুমানমূলক কারণেই (speculative reason ) আবিষ্কারযোগ্য ছিল।




জার্মান দার্শনিক ইমমানুয়েল ক্যান্ট আলোকিতকরণ প্রকল্পের দার্শনিক ভিত্তিগুলোকে ক্ষুন্ন করেছিলেন এই বলে যে, বিশুদ্ধভাবে কারণ/ যুক্তি (pure reason ) সেই লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না। অন্যরা আরও যোগ করেছিলেন যে, অষ্টাদশ শতাব্দীর অর্থনীতির সবই রাজনৈতিক দর্শনের সাথে জড়িত ছিল, অর্থনীতিবিদরাও এমনভাবে তাঁদের চিন্তার মধ্যে গেঁথে গিয়েছিলেন যে, অর্থনীতি আর রাজনীতির পার্থক্য করতে তাঁরা অক্ষম হয়ে পড়েছিলেন। অর্থনীতিবিদদের ভাবনায় অর্থনীতি বিষয়টি যা হওয়া উচিত, তা হচ্ছিলোনা । আইনের ক্ষেত্রে ক্যান্ট নিজেই একটি উপায় দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন । তাঁর মতে একসাথে পুরো "প্রকৃতিগত ব্যবস্থা" উদ্ঘাটনের চেষ্টা করার চেয়ে বরং সীমিত সংখ্যক মূলনীতি (যেমন ন্যায় বিচারের মৌলিক ধারণা, অধিকারের নীতি বা সত্যাসত্যের নীতি)-র মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে কীভাবে বাকিগুলো পরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা যেতে পারে-এ বিষয়ে মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। এটি ঊনবিংশ শতাব্দীতে জার্মান চিন্তার "রূপক" (metaphysical ) হিসাবে পরিচিত হতে পারে।


তবে জার্মান চিন্তার আরেকটি কম আপসকারী লাইন, যাকে "Historical” ঐতিহাসিক" বলা যেতে পারে, এই ধারণাটিকে এগিয়ে নিয়েছিল যে, মানুষের সমাজ কাঠামো (মানব-সামাজ) নির্মাণ - যেমন আইনী সিস্টেম, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ইত্যাদি - কিন্তু মানুষের পুরো ইতিহাসের একটি ফলাফল ছিল, এটি এমন কোনও বিষয় নয়, যা কোনও দার্শনিকের মনোগত জল্পনা-কল্পনা দ্বারা পরিপূর্ণরূপে উদ্ভূত বা পরিশ্রমলব্ধ প্রণীত আইন দ্বারা প্রস্তুতকৃত । তবে 19- শতকের জার্মান চিন্তায় ক্যান্ট-পরবর্তী রূপক ও ঐতিহাসিক প্রাপ্তিগুলো সম্পূর্ণ আলাদা ছিল না। আমরা এগুলো প্রায়শই ওভারল্যাপিং এবং পরস্পর সংযুক্ত হতে দেখি, যেমনটি সর্বাধিক বিখ্যাত প্রভাবশালী দার্শনিক জর্জ ডাব্লু এফ হেগেলের কাজে দেখা যায়, যেখানে ইতিহাসকে সময়ের সাথে সাথে কিছু প্রয়োজনীয় অন্তর্নিহিত ধারণা বা নীতি প্রকাশ করার মতো করে ব্যাখ্যা করা হয়। জার্মান ঐতিহাসিক স্কুল সেই একই পদ্ধতি এবং চেতনাকে অর্থনীতির ক্ষেত্রে প্রতিস্থাপন (transplant) করেছিল।


বার্লিনকে কেন্দ্রস্থল হিসাবে ধরে জার্মানির বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ১৮৮০-এর দশকে জার্মান -বৃত্তি প্রদানের ওপর ভর করে হেগেলের প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে। 1848-বিপ্লব এর অসন্তুষ্টির প্রেক্ষাপটে 19-শতকের মাঝামাঝি সময়ে প্রথম বা প্রাচীন (আদি) ঐতিহাসিক স্কুল গড়ে উঠে। পুরানো(আদি ) স্কুলটি যথেষ্ট সম্মিলিত আন্দোলনের ফল ছিল না, তবে পৃথক কেন্দ্র থেকে তা বের হয়েছিল। পুরাতন স্কুলটির তিনজন প্রতিনিধিত্বকারী হলেন-

লাইপজিগের উইলহেম রোশ্চের / রোসার ( Wilhelm Roscher ) , হাইডেলবার্গের কার্ল নাইজ (Karl Knies ) এবং ব্রুনো হিলডেব্রান্ড ( Bruno Hildebrand)। তাঁরা 1860 এর দশকে তাঁদের প্রভাবের শীর্ষে পৌঁছেছিলেন ।



ঐতিহাসিক বিদ্যালয়ের প্রারম্ভিক পদ্ধতিগত নীতিগুলো, উইলহেম রোসার এর দ্বারা নির্ধারিত । রোসার সার্বজনীন তাত্ত্বিক সিস্টেমের ( universal theoretical systems) ধারণাটিকে অস্বীকার করেছিলেন। যুক্তি দিয়েছিলেন যে, অর্থনৈতিক আচরণ এবং তার প্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক "আইন", তাদের ঐতিহাসিক, সামাজিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক প্রেক্ষাপটের উপর নির্ভরশীল। যে কোনও অর্থনৈতিক "আইন" আনয়নের (প্রতিষ্ঠার) জন্য, পদ্ধতিটি অবশ্যই অনিবার্যভাবে বিভিন্ন সম্পর্কযুক্ত বিষয়ভিত্তিক শৃঙ্খলাবদ্ধ (cross -disciplinary) হতে হবে: একজনকে অবশ্যই একইসাথে ঐতিহাসিক, সমাজবিজ্ঞানী, এবং পাশাপাশি একজন অর্থনীতিবিদের চোখ দিয়ে অর্থনৈতিক জীবনের দিকে নজর দিতে হবে। সুতরাং সমাজ ও অর্থনৈতিক সংস্থার মধ্যে সম্পর্ক কীরূপ হতে পারে, সে সম্পর্কে কিছু ধারণা পাওয়ার জন্য প্রথম কাজটি হ'ল- অর্থনৈতিক বিবরণের জন্য ইতিহাসের পাতার দিকে নজর দেয়া । ফলস্বরূপ, ঐতিহাসিক প্রাথমিক স্কুলের রোসার , নাইস এবং হিলডেব্রান্ড এঁদের বেশির ভাগ কাজ ইতিহাস এবং "জৈব" রূপকগুলোকে অবলম্বন করে অর্থনৈতিক সংগঠনের বিভিন্ন "পর্যায়" এর মাধ্যমে বিবেচিত হয় ।

1870 এর দশকে ‘ইয়ংগার (যুব) ঐতিহাসিক স্কুল’( Younger Historical School) এর আবির্ভাব, এ সময়টি ছিল অনেক আত্মবিশ্বাসের কাল, কারণ তা ছিল 1871 এর ফ্রাঙ্কো-প্রুশিয়ান যুদ্ধ এবং জার্মান একীকরণ( German unification) এর পরের সময়কাল ।

‘ইয়ংগার ঐতিহাসিক স্কুল’ গুস্তাভ শ্মোলার / স্মোলের (Gustav Schmoller), অ্যাডল্ফ ওয়াগনার (Adolf Wagner), লুজো ব্রেনটানো (Lujo Brentano) এবং আরও বেশ কয়েকজনকে ঘিরে পরিচালিত হয়েছে এবং তাঁরাই বাস্তবে ঐতিহাসিক স্কুলের প্রতিনিধিত্ব করেন ।



‘ইয়ংগার ঐতিহাসিক স্কুল’ তাঁদের পূর্বসূরীদের ইতিবাচক (positivist ) আচ্ছাদন ত্যাগ করেন। তাঁদের দাবি, অর্থনীতির অন্তর্নিহিত একটি আদর্শিক (নীতিবাচক /normative ) শৃঙ্খলা ছিল এবং তাই তাকে নীতিনির্ধারক ও এবং ব্যবসায়ীদের ব্যবহারের জন্য সরঞ্জাম /হাতিয়ার তৈরির কাজে নিযুক্ত করা উচিত। তাঁদের দৃষ্টিতে কেবল হাতে থাকা নির্দিষ্ট সমস্যার চিত্রণ সরবরাহ করার জন্য ইতিহাস বিদ্যমান। ঐতিহাসিকগণ অনুশীলন উদ্দেশ্যে 1873 সালে Verein f Socialr Socialpolitik নামে একটি সমিতি গঠন করেন যাতে অর্থনৈতিক নীতি সক্রিয়তার (economic policy activism) বাহন হিসাবে তা কাজ করতে পারে । তবে, সেই ‘ভেরেন’ কে দ্রুত অর্থনীতির শিল্পায়নের জন্য জার্মান সরকারের প্রচেষ্টার একটি হাতিয়ার হিসাবে বা কমপক্ষে ‘একজন চিয়ার লিডার’(উৎফুল্ল নেতৃত্ব ) হিসাবে পরিগণিত হতে দেখা গেছে। বিসমার্কিয়ান অর্থনৈতিক ও সামাজিক নীতি গঠনে তারা সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিল এবং তাদের ছাত্রদের অন্তর্ভুক্তি দ্বারা জার্মান সিভিল সার্ভিস এবং একাডেমিয়াকে তারা সমৃদ্ধ করেছিল। এটি শ্মোলার এবং তাঁর সহকর্মীদের “চেয়ারের সমাজতন্ত্রী” ("socialists of the chair") বা জার্মান ভাষায় “ ক্যাথেদার সোজিয়ালিসটেন” (Katheder Sozialisten) - এই লেবেল (পরিচিতি ) অর্জনে সহায়তা করেছিল।

1883 সালে, ভিয়েনিজ (অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা নগরীর) নিওক্ল্যাসিকাল তাত্ত্বিক, কার্ল মেঙ্গার/ মেঞ্জের তাঁর পদ্ধতিগত বন্দুকের নল ঐতিহাসিক স্কুলের সদস্যদের দিকে তাক করেছিলেন - আংশিকভাবে তাঁর নবীন প্রান্তিকতাবাদী তত্ত্বের কনুইসম রুম(elbow room) সন্ধানের প্রয়াসে। তবে তখন ইতিহাসবিদগণ তাঁদের আদর্শিক(নীতিবাচক) অবস্থান থেকে রোসারের পুরানো যুক্তিতে ফিরে গিয়েছিলেন - তাঁরা দাবি করলেন যে, তাঁদের পদ্ধতি ছিল- তত্ত্বটি প্রয়োগের আগে কেবল ঐতিহাসিক আইনগুলো প্রথমে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করা, যা প্রকৃত অবস্থায় ছিল একটি ইতিবাচক প্রচেষ্টা। জার্মান এবং অস্ট্রীয় স্কুলের অত্যন্ত ঝাঁজালো বিতর্কের মধ্যে কেউ কেউ দাবি করেছেন যে, সেই বিতর্কে অস্ট্রিয়ানরা বিজয়ী হয়েছিল, তবে প্রকৃত অবস্থায় এটি ছিল একটি শূন্য(০) বিজয়। ইতিহাসবিদগণ (ইতিহাসবেত্তারা) জার্মান একাডেমিক প্রতিষ্ঠানে তাঁদের বিশিষ্ট অবস্থান এবং নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পেরেছিলেন ।

“ Youngest Historical School” / “ সর্বকনিষ্ঠ ঐতিহাসিক স্কুলের সদস্যগণ ছিলেন ভিন্ন রুচির - প্রাথমিকভাবে, তাঁরা শ্মোলার প্রজন্মের তুলনায় অনেক কম রক্ষণশীল ছিলেন এবং তাঁরা প্রথম দিকের রোসারের ইতিবাচকতায় ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। বস্তুত, Schmoller গ্রুপের দিকে বেশি আকৃষ্ট না হয়ে তাঁরা কিছু না কিছু ভাবে Werner Sombart , Arthur Spiethoff , এবং Max Weber এর কাছাকাছি যেতে আগ্রহী হয়েছিলেন, যেখানে Sombart, Spiethoff , এবং Max Weber এর চিন্তাধারা, মার্ক্সিয় অর্থনীতির নিকটতর ছিল ।



1920 এর দশকে অ্যাডল্ফ লোবে/ লোয়ে (Adolph Lowe) এর নেতৃত্বাধীন কিয়েল স্কুল, যা স্বাধীন ব্যবসা চক্র গবেষণার পাশাপাশি ক্রস-ডিসিপ্লিনারি সামাজিক বিজ্ঞান উভয়েরই গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল, তাকে "সর্বকনিষ্ঠ" ঐতিহাসিক স্কুলের নিকট-সংযোজন বলা যেতে পারে ।




সেই অর্থে এটি রোসার এবং পুরাতন ঐতিহাসিক বিদ্যালয়ের ইতিবাচক অবস্থান গ্রহণ করেছিল । যাই হোক, এর আদর্শিক "উপকরণবাদ"(normative instrumentalism) এর গোপনীয়তা, এটিকে একটি নীতিনির্ভর গোষ্ঠী হিসাবেও দাঁড় করেছিল - যাকে অনেকটা শ্মোলারের ‘ভেরিন’ -র তুলনায় আরও বেশি সমাজতান্ত্রিক সংস্করণ হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে । কিয়েল স্কুলটি সামাজিক গণতান্ত্রিক রাজনীতি এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক নীতি বিশ্লেষণ ও মতামত প্রকাশে যথেষ্ট সক্রিয় ছিল। হিটলারের ক্ষমতায় আসার পরে এটি ভেঙে দেওয়া হয় এবং এর বেশির ভাগ সদস্য নির্বাসিত ছিলেন ।

জার্মান ঐতিহাসিক স্কুলের ধারণাগুলো উনিশ শতকের শেষদিকে অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল, এমন এক সময়ে যখন অনেক তরুণ বিদেশী জার্মানীতে এসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক অধ্যয়নের জন্য। এটি ইতালি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অত্যন্ত প্রভাবশালী ছিল। ইতালির “লম্বার্ডো - ভেনেশিয়ান” স্কুল( Lombardo - Venetian School ) এবং আমেরিকান “ নিউ জেনারেশন” ( নিউ Generation ) (1870-90-এর দশকে)- কে জার্মান ঐতিহাসিক স্কুলের সরাসরি অফসুট (শাখা) হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এর বিপরীতে ইংলিশ এবং ফরাসি ঐতিহাসিকগণ প্রসারিত ক্ষেত্র ( প্রভাব) থেকে এসেছিলেন, তবে একটি সাধারণ পদ্ধতির মাধ্যমে তাঁরা আবার একত্রিত হতেও পারতেন।

যদিও অর্থনীতিতে জার্মান হিস্টোরিকাল স্কুলের প্রভাব, এবং সে সময়ে প্রকৃতপক্ষে সাধারণভাবে সামাজিক বিজ্ঞানে এর ওপর এর প্রভাব ছিল ব্যাপক এবং প্রভাবশালী, তবে সেই প্রভাবের সামান্য কিছু আধুনিক অর্থনীতিতেও উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হয়েছিল। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের ধারণাগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে - যেমন "স্বর্ণকার" এবং অর্থের চার্টলিস্ট তত্ত্বগুলোতে তা কিছু কিছু পরিলক্ষিত হয় , অর্থনৈতিক উন্নয়নের বা প্রবৃদ্ধির "পর্যায়"(Stages of economic development ) এবং অর্থনৈতিক অবস্থান তত্ত্ব (economic location theory ) প্রসঙ্গেও তাঁদের অবদান স্বীকৃত । এ ছাড়াও ইউরোপীয় এবং আমেরিকান ‘হেটেরোডক্স অর্থনীতি’(Heterodox economics ) তে জার্মান ঐতিহাসিক স্কুলের বেশ কিছু উপাদান বিরাজমান ।


তথ্যসূত্র ও ফটো-কৃতজ্ঞতা:

Wikipedia ও Getty Images



85 views0 comments

Recent Posts

See All

Comments


bottom of page